ময়মনসিংহে চাচাতো বোনকে ধ’র্ষণ, অতঃপর ভিডিও ফেসবুকে!

বর্তমান সময়ে সারাদেশে প্রতিনিয়তই ঘটছে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের ঘটনা।চাচাতো বোনকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে মত ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইলে।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নে বিয়ের কথা বলে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর এর ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম (১৯) পলাতক রয়েছেন।

শনিবার ফেসবুকে ভিডিওটি ছাড়া হয়। এর পর থেকে লজ্জায় গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হন ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী। সে কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন বলে দাবি করেন স্বজনরা।এ বিষয়ে জানতে শনিবার রাত পর্যন্ত স্থানীয় মিডিয়াকর্মীরা অভিযুক্ত শফিকুলের বাড়িতে অবস্থান নিলেও শফিকুলের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগে জানা যায়।

ওই কিশোরীর চাচি জানান, শফিকুল প্রায়ই তার ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করত। একদিন সে বিয়ের কথা বলে ভাতিজিকে ধর্ষণ করে এবং গোপনে তা ভিডিও করে। এর পর ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আবারও অনৈতিক সম্পর্ক করতে চায়। এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শফিকুল ভিডিওটি ফেসবুকে শনিবার ছেড়ে দেয়।

চাচা বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাইনি। এ জন্য গত শুক্রবার আমরা সাতজন ওই ছেলের বাড়িতে গিয়ে বিচার চেয়েছিলাম। কিন্তু ছেলের বোন রুবিনা উল্টো গালাগাল করে আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন।

এ বিষয়ে জানতে শনিবার স্থানীয় মিডিয়াকর্মীরা অভিযুক্ত শফিকুলের বাড়িতে গেলে রুবিনা কিংবা শফিকুলের বাবাকে পাওয়া যায়নি।তবে শফিকুলের দুই ভাই রফিকুল ও আজিজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তারা শুনেছেন। তবে শফিকুল বাড়িতে না থাকায় বিস্তারিত জানতে পারেননি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মন্নাছ জানান, বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্ত কিশোরের পরিবার আগ্রহ দেখায়নি। ঘটনাটি ঘটে সপ্তাহখানেক আগে। সম্পর্কে অভিযুক্ত শফিকুল ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই।

তিনি বলেন, ঘটনাটি খুবই ন্যক্কারজনক। সমাজে আমরা মুখ দেখাতে পারছি না। এ অবস্থায় একটা সমাঝোতা করতে দুপক্ষকেই ডেকেছিলাম। মেয়েপক্ষ এলেও ছেলেপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি। এখন মেয়ের বাবাকে নান্দাইল মডেল থানায় মামলা করতে পরামর্শ দিয়েছি।